শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের ঐক্য চাইলেন মামুনুল হক

বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চসহ যে সকল রাজনৈতিকদল যারা নিজ নিজ প্লাটফর্ম থেকে একসাথে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম লড়াই করেছি তাদের মাঝে যেন এখনই কোনো মতপার্থক্য, মতভেদ তৈরী না হয়।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আহত ও তাদের জন্য দোয়া এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও পতিত স্বৈরশাসকের বিচারের দাবিতে জেলা খেলাফত মজলিশ আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তাদের দোষরদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় হয়েছে, এটা ভেবে যেন আমরা কেউ তৃপ্তির ঢেকুর না তুলি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলেনর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তা আরো শক্তভাবে গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক দলসহ গণতন্ত্রকামী সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আবংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

তিনি বলেন, এতো তারাতারি শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের কাছ থেকে নিজেদের নিরাপদ ভাবলে চলবে না। শেখ হাসিনার সীমান্তের অপর প্রান্তে ঘুর ঘুর করছে। শুধু সে না সীমান্তের এই পারেও তার দোসররা বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে। সময় সুযোগ পেলেই তারা আবার ছোবল মারবে। আওয়ামী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়, তার আসল রূপ হল শেখ হাসিনা ও তার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনীর মতো ছোবল মারতো আর দিনের বেলা সান্তনা দিত। এটা তাদের সাজানো নাটক ছিল। আর এই নাটকের কলাকুশলীরা যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে তাহলে এদেশে আর কোনোদিন সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। সংখ্যালঘুদের তারা নিজ স্বার্থে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে এবং এ বিষয়টিকে তারা ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মনে করত।

মামুনুল হক আরো বলেন, ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ কায়েম করার লক্ষ্যে আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন একটি সমাজ তৈরি করতে চাই যে সমাজে থাকবে না কোনো বৈষম্য, যে সমাজে থাকবে না কোনো অনাহারের আর্তনাদ, যেখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ।

শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করে মামুনুল হক বলেন, একটি স্থিতিশীল দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, নজির বিহীনভাবে শত শত ছাত্র-জনতাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে হাসিনা। সে সকল শহীদানদের কবুলের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি ও রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। সে সাথে খুনি হাসিনাকে দেশের মাটিতে এনে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে এটাও আমরা দেখব ইনশাল্লাহ। দেড় মাস যুদ্ধ করে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তা এখন রক্ষা করা অনেক কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষা করতে যদি আমরা ব্যর্থ হই তবে হাজারো ভাইয়ের রক্ত বৃথা যাবে। হাজারো মায়ের অশ্রু বৃথা যাবে, তাই সকলকে ধৈর্যধারণ করতে হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মালানা সাইদ আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মুসাসহ মজলিসের নেতাকর্মী সমর্থকবৃন্দ।

Source link

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের ঐক্য চাইলেন মামুনুল হক

আপডেট : ০৮:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চসহ যে সকল রাজনৈতিকদল যারা নিজ নিজ প্লাটফর্ম থেকে একসাথে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম লড়াই করেছি তাদের মাঝে যেন এখনই কোনো মতপার্থক্য, মতভেদ তৈরী না হয়।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আহত ও তাদের জন্য দোয়া এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও পতিত স্বৈরশাসকের বিচারের দাবিতে জেলা খেলাফত মজলিশ আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তাদের দোষরদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় হয়েছে, এটা ভেবে যেন আমরা কেউ তৃপ্তির ঢেকুর না তুলি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলেনর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তা আরো শক্তভাবে গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক দলসহ গণতন্ত্রকামী সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আবংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

তিনি বলেন, এতো তারাতারি শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের কাছ থেকে নিজেদের নিরাপদ ভাবলে চলবে না। শেখ হাসিনার সীমান্তের অপর প্রান্তে ঘুর ঘুর করছে। শুধু সে না সীমান্তের এই পারেও তার দোসররা বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে। সময় সুযোগ পেলেই তারা আবার ছোবল মারবে। আওয়ামী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়, তার আসল রূপ হল শেখ হাসিনা ও তার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনীর মতো ছোবল মারতো আর দিনের বেলা সান্তনা দিত। এটা তাদের সাজানো নাটক ছিল। আর এই নাটকের কলাকুশলীরা যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে তাহলে এদেশে আর কোনোদিন সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। সংখ্যালঘুদের তারা নিজ স্বার্থে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে এবং এ বিষয়টিকে তারা ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মনে করত।

মামুনুল হক আরো বলেন, ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ কায়েম করার লক্ষ্যে আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন একটি সমাজ তৈরি করতে চাই যে সমাজে থাকবে না কোনো বৈষম্য, যে সমাজে থাকবে না কোনো অনাহারের আর্তনাদ, যেখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ।

শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করে মামুনুল হক বলেন, একটি স্থিতিশীল দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, নজির বিহীনভাবে শত শত ছাত্র-জনতাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে হাসিনা। সে সকল শহীদানদের কবুলের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি ও রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। সে সাথে খুনি হাসিনাকে দেশের মাটিতে এনে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে এটাও আমরা দেখব ইনশাল্লাহ। দেড় মাস যুদ্ধ করে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তা এখন রক্ষা করা অনেক কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষা করতে যদি আমরা ব্যর্থ হই তবে হাজারো ভাইয়ের রক্ত বৃথা যাবে। হাজারো মায়ের অশ্রু বৃথা যাবে, তাই সকলকে ধৈর্যধারণ করতে হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মালানা সাইদ আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মুসাসহ মজলিসের নেতাকর্মী সমর্থকবৃন্দ।

Source link