শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪
নেত্রকোনায় দুই উপজেলা বন্যায় প্লাবিত

নেত্রকোনার দুই উপজেলায় বন্যা

নেত্রকোনার দুই উপজেলায় শতাধিক গ্রামে পানি, ৩৫০ হেক্টর আমন খেত পানির নিচে

প্রতিনিধিনেত্রকোনা

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:

বন্যার পানিতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা-বরুয়াকোনা সড়কের স্থানে স্থানে ডুবে ভেঙে গেছে। আজ রোববার সকালে সড়কের চিনাহালা এলাকায়ছবি: নেত্রকোনা টুডে

গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার অন্তত ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নগুলোর অন্তত ১০৫টি গ্রামে পানি উঠেছে। পানিতে প্রায় সাড়ে তিন শ হেক্টর জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে।

দুর্গাপুর উপজেলার বড় নদী সোমেশ্বরী, জারিয়ার কংস ও কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় আছে। এ ছাড়া কলমাকান্দার মহাদেও, সদর ও বারহাট্টা উপজেলার কংস, মগড়া, খালিয়াজুরীর ধনুসহ বিভিন্ন ছোট-বড় নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে সোমেশ্বরী নদীর পানি দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ মিটার নিচ দিয়ে, কংস নদের পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ মিটার নিচ দিয়ে এবং উব্দাখালীর পানি কলমাকান্দা ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, জারিয়া পয়েন্টে ১০ দশমিক ৫৫ মিটার আর কলমাকান্দা পয়েন্টে ৬ দশমিক ৫৫ মিটার।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

নেত্রকোনায় দুই উপজেলা বন্যায় প্লাবিত

নেত্রকোনার দুই উপজেলায় বন্যা

আপডেট : ০৮:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

নেত্রকোনার দুই উপজেলায় শতাধিক গ্রামে পানি, ৩৫০ হেক্টর আমন খেত পানির নিচে

প্রতিনিধিনেত্রকোনা

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:

বন্যার পানিতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা-বরুয়াকোনা সড়কের স্থানে স্থানে ডুবে ভেঙে গেছে। আজ রোববার সকালে সড়কের চিনাহালা এলাকায়ছবি: নেত্রকোনা টুডে

গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার অন্তত ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নগুলোর অন্তত ১০৫টি গ্রামে পানি উঠেছে। পানিতে প্রায় সাড়ে তিন শ হেক্টর জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে।

দুর্গাপুর উপজেলার বড় নদী সোমেশ্বরী, জারিয়ার কংস ও কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় আছে। এ ছাড়া কলমাকান্দার মহাদেও, সদর ও বারহাট্টা উপজেলার কংস, মগড়া, খালিয়াজুরীর ধনুসহ বিভিন্ন ছোট-বড় নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে সোমেশ্বরী নদীর পানি দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ মিটার নিচ দিয়ে, কংস নদের পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ মিটার নিচ দিয়ে এবং উব্দাখালীর পানি কলমাকান্দা ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, জারিয়া পয়েন্টে ১০ দশমিক ৫৫ মিটার আর কলমাকান্দা পয়েন্টে ৬ দশমিক ৫৫ মিটার।