রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিনা অনুমতিতে কলেজ শিক্ষকের ভারত ভ্রমন!!

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের এক শিক্ষক কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি না নিয়েই ভারত ভ্রমণ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

ওই শিক্ষকের নাম অখিল কুমার সরকার। তিনি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

গত ১২ অক্টোবর তিনি ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে ভারত ভ্রমণে যান অখিল কুমার। তবে ১৮ দিন পর ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কলেজে যোগদান করলেও নিয়মানুযায়ী তার ছুটি মঞ্জুর হয়নি।

যদিও ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তিনি নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ। এছাড়া নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ারও নিয়ম নেই বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী এমপিওভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক বিদেশে যেতে হলে তার আবেদনটি কলেজের গভর্নিং বডির সভার মাধ্যমে রেজ্যুলেশন আকারে অনুমোদিত হতে হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে অবহিত করতে হয়।

এদিকে শিক্ষক অখিল কুমার সরকার বিদেশ ভ্রমণের ছুটির বিষয়টি জানেন না কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি।

শিক্ষক অখিল কুমারের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বছরে কয়েকবার ভারতে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভারতে তার বাড়ি ঘর রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুখলেছুর রহমান আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অখিল সরকারের ছুটির আবেদন দেখান। এতে দেখা গেছে, বিশেষ প্রয়োজনে ভারতে যাওয়ার জন্য অধ্যক্ষ বরাবর ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করেন অখিল সরকার। আবেদনপত্রে অধ্যক্ষের একটি স্বাক্ষর থাকলেও এতে কোনো অনুমোদন বা সিল নেই। ছাড়পত্র ও গভর্নির বডির অনুমোদন বা রেজ্যুলেশনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

অধ্যক্ষ বলেন, কোনো শিক্ষককে বিদেশ যেতে হলে সেই ছুটি দেওয়ার এখতিয়ার অধ্যক্ষের রয়েছে। তাই নিজ ক্ষমতাবলে তিনি ওই শিক্ষককে ছুটি দিয়েছেন। পরে সেটি গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করে নিবেন।  বিদেশ ভ্রমণের আলাদা কোনো ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে তিনি দাবি করেন।

তবে বিদেশে ১৮ দিন কাটিয়ে দেশে চলে এলেও শিক্ষক অখিল কুমারের ছুটি এখনও গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন হয়নি।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা কবির বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ঘটনাটি এই প্রথম আপনার থেকে জানলাম। কোনো শিক্ষক আমার কাছ থেকে বিদেশ যাওয়ার ছুটি নেননি।

কলেজের গভর্নিং বডির সদ্য মনোনীত সভাপতি গোলাম রাব্বানী পুতুল বলেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু আমাকে জানায়নি।

শিক্ষক অখিল কুমার সরকার বলেন, ভারতে আমার মা ভীষণ অসুস্থ থাকায় পূজার ছুটিতে দেখতে গিয়েছিলাম। তাড়াহুড়ো করে আবেদন লিখতে গিয়ে ভুলে আবেদনে  নৈমিত্তিক ছুটির কথা লিখে ফেলেছি। নতুন একটা প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী অধ্যক্ষই বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। এটা কোনো সমস্যা না। তবে মায়ের অসুখ বেশি থাকায় ১৫ দিনের জায়গায় ১৮ দিন পরে এসেছি।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, এমপিওভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক বিদেশে যাওয়ার অনুমতি অধ্যক্ষ দিতে পারেন না। আবেদনটি গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করে রেজ্যুলেশন আকারে  অনুমোদন দিতে হবে। আর নৈমিত্তিক ছুটিতে বিদেশ যাওয়ার নিয়ম নেই।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের এক শিক্ষক কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি না নিয়েই ভারত ভ্রমণ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ওই শিক্ষকের নাম অখিল কুমার সরকার। তিনি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

গত ১২ অক্টোবর তিনি ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে ভারত ভ্রমণে যান অখিল কুমার। তবে ১৮ দিন পর ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কলেজে যোগদান করলেও নিয়মানুযায়ী তার ছুটি মঞ্জুর হয়নি।

যদিও ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তিনি নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ। এছাড়া নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ারও নিয়ম নেই বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী এমপিওভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক বিদেশে যেতে হলে তার আবেদনটি কলেজের গভর্নিং বডির সভার মাধ্যমে রেজ্যুলেশন আকারে অনুমোদিত হতে হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে অবহিত করতে হয়।

এদিকে শিক্ষক অখিল কুমার সরকার বিদেশ ভ্রমণের ছুটির বিষয়টি জানেন না কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি।

শিক্ষক অখিল কুমারের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বছরে কয়েকবার ভারতে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভারতে তার বাড়ি ঘর রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুখলেছুর রহমান আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অখিল সরকারের ছুটির আবেদন দেখান। এতে দেখা গেছে, বিশেষ প্রয়োজনে ভারতে যাওয়ার জন্য অধ্যক্ষ বরাবর ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করেন অখিল সরকার। আবেদনপত্রে অধ্যক্ষের একটি স্বাক্ষর থাকলেও এতে কোনো অনুমোদন বা সিল নেই। ছাড়পত্র ও গভর্নির বডির অনুমোদন বা রেজ্যুলেশনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

অধ্যক্ষ বলেন, কোনো শিক্ষককে বিদেশ যেতে হলে সেই ছুটি দেওয়ার এখতিয়ার অধ্যক্ষের রয়েছে। তাই নিজ ক্ষমতাবলে তিনি ওই শিক্ষককে ছুটি দিয়েছেন। পরে সেটি গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করে নিবেন।  বিদেশ ভ্রমণের আলাদা কোনো ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে তিনি দাবি করেন।

তবে বিদেশে ১৮ দিন কাটিয়ে দেশে চলে এলেও শিক্ষক অখিল কুমারের ছুটি এখনও গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন হয়নি।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা কবির বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ঘটনাটি এই প্রথম আপনার থেকে জানলাম। কোনো শিক্ষক আমার কাছ থেকে বিদেশ যাওয়ার ছুটি নেননি।

কলেজের গভর্নিং বডির সদ্য মনোনীত সভাপতি গোলাম রাব্বানী পুতুল বলেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু আমাকে জানায়নি।

শিক্ষক অখিল কুমার সরকার বলেন, ভারতে আমার মা ভীষণ অসুস্থ থাকায় পূজার ছুটিতে দেখতে গিয়েছিলাম। তাড়াহুড়ো করে আবেদন লিখতে গিয়ে ভুলে আবেদনে  নৈমিত্তিক ছুটির কথা লিখে ফেলেছি। নতুন একটা প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী অধ্যক্ষই বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। এটা কোনো সমস্যা না। তবে মায়ের অসুখ বেশি থাকায় ১৫ দিনের জায়গায় ১৮ দিন পরে এসেছি।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, এমপিওভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক বিদেশে যাওয়ার অনুমতি অধ্যক্ষ দিতে পারেন না। আবেদনটি গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করে রেজ্যুলেশন আকারে  অনুমোদন দিতে হবে। আর নৈমিত্তিক ছুটিতে বিদেশ যাওয়ার নিয়ম নেই।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

বিনা অনুমতিতে কলেজ শিক্ষকের ভারত ভ্রমন!!

আপডেট : ০৪:২৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের এক শিক্ষক কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি না নিয়েই ভারত ভ্রমণ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

ওই শিক্ষকের নাম অখিল কুমার সরকার। তিনি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

গত ১২ অক্টোবর তিনি ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে ভারত ভ্রমণে যান অখিল কুমার। তবে ১৮ দিন পর ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কলেজে যোগদান করলেও নিয়মানুযায়ী তার ছুটি মঞ্জুর হয়নি।

যদিও ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তিনি নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ। এছাড়া নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ারও নিয়ম নেই বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী এমপিওভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক বিদেশে যেতে হলে তার আবেদনটি কলেজের গভর্নিং বডির সভার মাধ্যমে রেজ্যুলেশন আকারে অনুমোদিত হতে হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে অবহিত করতে হয়।

এদিকে শিক্ষক অখিল কুমার সরকার বিদেশ ভ্রমণের ছুটির বিষয়টি জানেন না কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি।

শিক্ষক অখিল কুমারের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বছরে কয়েকবার ভারতে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভারতে তার বাড়ি ঘর রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুখলেছুর রহমান আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অখিল সরকারের ছুটির আবেদন দেখান। এতে দেখা গেছে, বিশেষ প্রয়োজনে ভারতে যাওয়ার জন্য অধ্যক্ষ বরাবর ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করেন অখিল সরকার। আবেদনপত্রে অধ্যক্ষের একটি স্বাক্ষর থাকলেও এতে কোনো অনুমোদন বা সিল নেই। ছাড়পত্র ও গভর্নির বডির অনুমোদন বা রেজ্যুলেশনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

অধ্যক্ষ বলেন, কোনো শিক্ষককে বিদেশ যেতে হলে সেই ছুটি দেওয়ার এখতিয়ার অধ্যক্ষের রয়েছে। তাই নিজ ক্ষমতাবলে তিনি ওই শিক্ষককে ছুটি দিয়েছেন। পরে সেটি গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করে নিবেন।  বিদেশ ভ্রমণের আলাদা কোনো ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে তিনি দাবি করেন।

তবে বিদেশে ১৮ দিন কাটিয়ে দেশে চলে এলেও শিক্ষক অখিল কুমারের ছুটি এখনও গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন হয়নি।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা কবির বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ঘটনাটি এই প্রথম আপনার থেকে জানলাম। কোনো শিক্ষক আমার কাছ থেকে বিদেশ যাওয়ার ছুটি নেননি।

কলেজের গভর্নিং বডির সদ্য মনোনীত সভাপতি গোলাম রাব্বানী পুতুল বলেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু আমাকে জানায়নি।

শিক্ষক অখিল কুমার সরকার বলেন, ভারতে আমার মা ভীষণ অসুস্থ থাকায় পূজার ছুটিতে দেখতে গিয়েছিলাম। তাড়াহুড়ো করে আবেদন লিখতে গিয়ে ভুলে আবেদনে  নৈমিত্তিক ছুটির কথা লিখে ফেলেছি। নতুন একটা প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী অধ্যক্ষই বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। এটা কোনো সমস্যা না। তবে মায়ের অসুখ বেশি থাকায় ১৫ দিনের জায়গায় ১৮ দিন পরে এসেছি।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, এমপিওভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক বিদেশে যাওয়ার অনুমতি অধ্যক্ষ দিতে পারেন না। আবেদনটি গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করে রেজ্যুলেশন আকারে  অনুমোদন দিতে হবে। আর নৈমিত্তিক ছুটিতে বিদেশ যাওয়ার নিয়ম নেই।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের এক শিক্ষক কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি না নিয়েই ভারত ভ্রমণ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ওই শিক্ষকের নাম অখিল কুমার সরকার। তিনি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

গত ১২ অক্টোবর তিনি ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে ভারত ভ্রমণে যান অখিল কুমার। তবে ১৮ দিন পর ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কলেজে যোগদান করলেও নিয়মানুযায়ী তার ছুটি মঞ্জুর হয়নি।

যদিও ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তিনি নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ। এছাড়া নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ারও নিয়ম নেই বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী এমপিওভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক বিদেশে যেতে হলে তার আবেদনটি কলেজের গভর্নিং বডির সভার মাধ্যমে রেজ্যুলেশন আকারে অনুমোদিত হতে হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে অবহিত করতে হয়।

এদিকে শিক্ষক অখিল কুমার সরকার বিদেশ ভ্রমণের ছুটির বিষয়টি জানেন না কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি।

শিক্ষক অখিল কুমারের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বছরে কয়েকবার ভারতে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভারতে তার বাড়ি ঘর রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুখলেছুর রহমান আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অখিল সরকারের ছুটির আবেদন দেখান। এতে দেখা গেছে, বিশেষ প্রয়োজনে ভারতে যাওয়ার জন্য অধ্যক্ষ বরাবর ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করেন অখিল সরকার। আবেদনপত্রে অধ্যক্ষের একটি স্বাক্ষর থাকলেও এতে কোনো অনুমোদন বা সিল নেই। ছাড়পত্র ও গভর্নির বডির অনুমোদন বা রেজ্যুলেশনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

অধ্যক্ষ বলেন, কোনো শিক্ষককে বিদেশ যেতে হলে সেই ছুটি দেওয়ার এখতিয়ার অধ্যক্ষের রয়েছে। তাই নিজ ক্ষমতাবলে তিনি ওই শিক্ষককে ছুটি দিয়েছেন। পরে সেটি গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করে নিবেন।  বিদেশ ভ্রমণের আলাদা কোনো ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে তিনি দাবি করেন।

তবে বিদেশে ১৮ দিন কাটিয়ে দেশে চলে এলেও শিক্ষক অখিল কুমারের ছুটি এখনও গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন হয়নি।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা কবির বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ঘটনাটি এই প্রথম আপনার থেকে জানলাম। কোনো শিক্ষক আমার কাছ থেকে বিদেশ যাওয়ার ছুটি নেননি।

কলেজের গভর্নিং বডির সদ্য মনোনীত সভাপতি গোলাম রাব্বানী পুতুল বলেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু আমাকে জানায়নি।

শিক্ষক অখিল কুমার সরকার বলেন, ভারতে আমার মা ভীষণ অসুস্থ থাকায় পূজার ছুটিতে দেখতে গিয়েছিলাম। তাড়াহুড়ো করে আবেদন লিখতে গিয়ে ভুলে আবেদনে  নৈমিত্তিক ছুটির কথা লিখে ফেলেছি। নতুন একটা প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী অধ্যক্ষই বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। এটা কোনো সমস্যা না। তবে মায়ের অসুখ বেশি থাকায় ১৫ দিনের জায়গায় ১৮ দিন পরে এসেছি।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, এমপিওভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক বিদেশে যাওয়ার অনুমতি অধ্যক্ষ দিতে পারেন না। আবেদনটি গভর্নিং বডির সভায় অনুমোদন করে রেজ্যুলেশন আকারে  অনুমোদন দিতে হবে। আর নৈমিত্তিক ছুটিতে বিদেশ যাওয়ার নিয়ম নেই।