রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের সাথে দুর্ব্যবহার ও অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বরাবর এমন অভিযোগ করেছেন মো. আবু ছালেক নামে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক।
ব্যাংকে লেনদেন সংক্রান্ত কাজে ব্যাংকে গেলে ম্যানেজার সাইকুল ইসলাম তার সাথে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষক।

ভুক্তভোগী আবু ছালেক উপজেলার গাড়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আর অভিযুক্ত মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. সাইকুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একটি চেক বই উত্তোলনের জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে যান আবু ছালেক। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে না পেয়ে ম্যানেজার সাইকুল ইসলামকে সমস্যার কথা জানান। শরণাপন্ন হন তিনি। তবে ম্যানেজার আবু ছালেককে চরমভাবে অপমান করেন ও অশালীন কথাবার্তা বলেন। এক পর্যায়ে ম্যানেজার তাকে বলেন, আপনারা কি স্কুলে ক্লাশ করান নাকি? ব্যাংকে এসে কৈফিয়ত চান? এসময় ক্যাশ অফিসার মানিক শিক্ষক আবু ছালেককে ‘এই বেটা বাইরে যা তুই’ বলে অপমান করেন। পরে তিনি চলে আসেন। এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বরাবর অভিযোগ করেন।

শিক্ষক আবু ছালেক জানান, ম্যানেজার সাইকুল ইসলাম প্রতিদিনই গ্রাহকের সাথে এমন খারাপ আচরণ করেন। এতে ব্যাংকটিতে গ্রাহকের সংখ্যা কমছে।

এদিকে স্থানীয় তন্ময় নামে এক যুবক জানান, সকল কাগজপত্র থাকার পরেও ঘুষ না দেওয়ায় আমাকে লোন দেননি ম্যানেজার সাইফুল। ব্যবসায়ী হিসেবে লোন পাওয়ার জন্য তার কাছে যাই। তিনি নানা কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলেন। বেশ খরচ করে কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর লোক দিয়ে ঘুষ চান ম্যানেজার। ঘুষ না দেওয়ায় আর লোন দেননি তিনি। ঘুষ দিলে সব কাগজ ঠিক, আর টাকা না দিলে কাগজ সঠিক থাকলেও লোন দেন না তিনি। ব্যাংকে ঘুষের একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তিনি। এমন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় না আনলে এর সুফল মানুষ পাবে না। একই অভিযোগ করেছেন রিয়াদ নামে আরেক ভুক্তভোগী।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার সাইকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক আবু ছালেকের সাথে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাকে কোনো অপমান করা হয়নি। এ নিয়ে তিনি অভিযোগ করবেন তা ভাবিনি। তবে লোনের জন্য কোনো ঘুষ নেওয়া হয় না। কেউ যদি এমন অভিযোগ করে থাকে, তাহলে সেটি মিথ্যা।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ

আপডেট : ১০:১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের সাথে দুর্ব্যবহার ও অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বরাবর এমন অভিযোগ করেছেন মো. আবু ছালেক নামে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক।
ব্যাংকে লেনদেন সংক্রান্ত কাজে ব্যাংকে গেলে ম্যানেজার সাইকুল ইসলাম তার সাথে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষক।

ভুক্তভোগী আবু ছালেক উপজেলার গাড়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আর অভিযুক্ত মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. সাইকুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একটি চেক বই উত্তোলনের জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে যান আবু ছালেক। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে না পেয়ে ম্যানেজার সাইকুল ইসলামকে সমস্যার কথা জানান। শরণাপন্ন হন তিনি। তবে ম্যানেজার আবু ছালেককে চরমভাবে অপমান করেন ও অশালীন কথাবার্তা বলেন। এক পর্যায়ে ম্যানেজার তাকে বলেন, আপনারা কি স্কুলে ক্লাশ করান নাকি? ব্যাংকে এসে কৈফিয়ত চান? এসময় ক্যাশ অফিসার মানিক শিক্ষক আবু ছালেককে ‘এই বেটা বাইরে যা তুই’ বলে অপমান করেন। পরে তিনি চলে আসেন। এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বরাবর অভিযোগ করেন।

শিক্ষক আবু ছালেক জানান, ম্যানেজার সাইকুল ইসলাম প্রতিদিনই গ্রাহকের সাথে এমন খারাপ আচরণ করেন। এতে ব্যাংকটিতে গ্রাহকের সংখ্যা কমছে।

এদিকে স্থানীয় তন্ময় নামে এক যুবক জানান, সকল কাগজপত্র থাকার পরেও ঘুষ না দেওয়ায় আমাকে লোন দেননি ম্যানেজার সাইফুল। ব্যবসায়ী হিসেবে লোন পাওয়ার জন্য তার কাছে যাই। তিনি নানা কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলেন। বেশ খরচ করে কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর লোক দিয়ে ঘুষ চান ম্যানেজার। ঘুষ না দেওয়ায় আর লোন দেননি তিনি। ঘুষ দিলে সব কাগজ ঠিক, আর টাকা না দিলে কাগজ সঠিক থাকলেও লোন দেন না তিনি। ব্যাংকে ঘুষের একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তিনি। এমন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় না আনলে এর সুফল মানুষ পাবে না। একই অভিযোগ করেছেন রিয়াদ নামে আরেক ভুক্তভোগী।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার সাইকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক আবু ছালেকের সাথে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাকে কোনো অপমান করা হয়নি। এ নিয়ে তিনি অভিযোগ করবেন তা ভাবিনি। তবে লোনের জন্য কোনো ঘুষ নেওয়া হয় না। কেউ যদি এমন অভিযোগ করে থাকে, তাহলে সেটি মিথ্যা।